আজ ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ঈদগাঁওতে পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে ৪ টি গরু লুট


শেফাইল উদ্দিন: কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে অস্ত্র ঠেকিয়ে ৪ টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ভোর রাতে উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ছাতি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, সংঘবদ্ধ ডাকাতদল বর্নিত এলাকার মৃত মোজাহারের ছেলে আবদু সমদের বাড়ির লোকজন কে অস্ত্র ঠেকিয়ে গোয়াল ঘর থেকে ৪ টি গরু

গাড়িতে উঠায়। এরপর পার্শ্ববর্তী বেলালের গোয়াল ঘরে হানা দিয়ে দরজা ভেঙে ফেলে । বেলাল এগিয়ে আসলে পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্র বের করে হুমকি দেয়। লোকজন জড়ো হতে শুরু করলে বেলালের গরু রেখে আবদু সমদের গরু নিয়ে গাড়ি টান দেয়।
আবদু সমদ এবং বেলাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এ ব্যাপারে ঈদগাঁও থানাকে অবগত করা হয়েছে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসছিল।

স্থানীয় মেম্বার বিএনপি নেতা কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মছিউর রহমানের সাথে কথা হলে জানান, ঘটনা স্থলে গিয়েছিলেন এজাহার দেয়া হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য,শুক্রবার (২০জুন) ভোর রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর র মাইজ পাড়ায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সেতু তৈরির মালামাল ও পার্শ্ববর্তী ছাত্র দল নেতা সাজ্জাদের বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে তিনটি গরু লুট করে গাড়ি যোগে নিয়ে গেছে সশস্ত্র ডাকাতদল।

এর আগের দিন ১৯ জুন ভোররাতেও একই ইউনিয়নের সাতঘরিয়া পাড়া থেকে সশস্ত্র ডাকাতদল মসজিদে ঈমাম মনছুর কে আযান দিতে মসজিদে যাওয়ার পথে পেয়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে হাত পা বেঁধে তার শশুর ইসহাকের গোয়াল ঘর থেকে ছয়টি গরু লুট করে।

এর আগে গত ১৬ জুন সকালে ঈদগাঁও -ঈদগড় সড়কে গণডাকাতির পর স্কুলছাত্রসহ তিন যাত্রীকে অপহরণ করে সশস্ত্র ডাকাতদল ।তাদেরকে অমানুষিক নির্যাতন করে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে একদিন পর ছেড়ে দেয়।
এরই আগে ঈদগাঁও – ঈদগড় সড়কে প্রায় ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। উক্ত ঘটনা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মিডিয়ায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। ঈদগাঁওতে পুলিশ প্রশাসন আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় কোন কাজ করছে না এমন অভিযোগ সর্বস্তরের মানুষের।

এক কথায় জুলাই বিপ্লব পরবর্তী ঈদগাঁও থানার পরিবর্তিত প্রশাসন উপজেলার আইন শৃংখলা উন্নয়নের পরিবর্তে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী অপরাধীদের আটকের পরিবর্তে তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে অনৈতিক উপায়ে অর্থ উপার্জনে মত্ত হয়ে উঠে। যার কারণে থানা পুলিশ এ পর্যন্ত চিহ্নিত কোন আওয়ামী দোসর ও অপরাধীকে আটক না করে চুনোপুঁটিদের আটক করে উর্ধ্বতন প্রশাসনকে ফাকি দিচ্ছে। যার কারণে এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে।উপজেলার আতঙ্কিত জনগণ আইন শৃংখলার উন্নয়নে বর্তমান থানা প্রশাসনের বিষয়ে কার্যকরপদক্ষেপ নিতে জেলা পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর